নিজস্ব প্রতিবেদক
অঝোর ধারায় কাঁদছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। দেখলে মনে হবে কোন ছবির দৃশ্যে কাঁদছেন তিনি। তবে এ কান্না কোন চলচ্চিত্রের স্যুটিংয়ের কান্না নয়, না কোন কষ্টের কান্না।
গতকাল ৮ আগস্ট রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘রানা প্লাজা’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন পরী। সে সময় তিনি এতটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন যে এরপর আর কোনো কথা বলতে পারেননি তিনি। তবে এ কান্না কষ্টের নয় খুশির।
আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির পরিচালক, নায়কসহ চলচ্চিত্রের অনেকে।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর সিনেমাটি সারাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তা ছাড়া সিনেমাটি নিয়ে দারুণ আশাবাদী পরীমনি। এই আশা যখন পূরণের পথে তখন পরীর এ খুশির কান্না।
নানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ দিন সেন্সর বোর্ডে আটকে ছিল চলচ্চিত্র রানা প্লাজা। বহুল আলোচিত সিনেমাটির বিভিন্ন দৃশ্য, রানা প্লাজা ধসের দৃশ্য প্রভৃতি নিয়ে আপত্তি তুলে সেন্সর বোর্ড। এরপর সিনেমাটির সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত সকল জটিলতা কাটিয়ে ১১ জুন সিনেমাটি সেন্সরের ছাড়পত্র পায়। এ ছবিটিতে অভিনয়ের পর থেকেই চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের নজর কাড়েন পরীমনি।
এ প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘এ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। সিনেমাটি অনেক দিন সেন্সর বোর্ডে আটকে ছিল। আমার মনে হয়েছে এটা ‘রানা প্লাজা’কে আটকানো হয়নি। আটকানো হয়েছে আমাকে।’
সিনেমাটিতে পোশাক শ্রমিক ‘রেশমা’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরীমনি। তার বিপরীতে আছেন সাইমন সাদিক। সিনেমাতে সাইমন অভিনীত চরিত্রটির নাম টিটু।
এতে সাইমন ও পরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, মিজু আহমেদ, কাবিলা, শিরিন আলম ও হাবিব খান। এর কাহিনি-সংলাপ লিখেছেন মুজতবা সউদ। চিত্রগ্রহণে এ এইচ স্বপন। সংগীতায়োজন করছেন আলী ইকরাম শুভ। শিল্প নির্দেশনায় কলন্তর, ব্যবস্থাপনায় মান্নান।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে